ফ্যারাডের সূত্র তড়িৎ বিশ্লেষণে পদার্থের পরিমাণ নির্ণয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি মূলত বৈদ্যুতিন প্রতিক্রিয়াগুলির মাধ্যমে কোনো পদার্থের পরিমাণ গণনা করতে ব্যবহৃত হয়। ফ্যারাডের সূত্র তড়িৎ বিশ্লেষণ এবং ইলেকট্রোলাইসিসের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি পদার্থের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য ইলেকট্রনিক প্রতিক্রিয়া এবং তার সাথে সম্পর্কিত বৈদ্যুতিন পরিমাণের (চার্জ) মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।
ফ্যারাডের সূত্র অনুসারে, কোনো পদার্থের পরিমাণ নির্ণয় করতে পারা যায় ইলেকট্রোলাইটে চলমান চার্জের পরিমাণের সাহায্যে। ফ্যারাডের সূত্রের রূপ হলো:
\[
m = \dfrac{M \times I \times t}{n \times F}
\]
যেখানে:
ফ্যারাডের সূত্রটি মূলত তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোনো পদার্থের মোল পরিমাণ, পরিমাণ এবং ইলেকট্রিক্যাল চার্জের সম্পর্ক নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোলাইটিক প্রক্রিয়া, যেমন ধাতু প্রাপ্তি, রূপান্তর, ইলেকট্রোলাইসিস ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক একটি ইলেকট্রোলাইটিক সেল ব্যবহার করে ১০ গ্রাম সোনা (Au) উত্তোলন করতে চাইলে, ফ্যারাডের সূত্র ব্যবহার করে নির্ধারণ করা যাবে কত সময় ধরে কত অ্যাম্পিয়ার প্রবাহ প্রয়োগ করতে হবে।
১. প্রথমে তথ্য সংগ্রহ করা: প্রতিটি পদার্থের জন্য আণবিক ভর, চার্জ, প্রবাহ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
২. ফ্যারাডের সূত্রে উপাত্ত স্থাপন করা: সূত্রে উপাত্ত সন্নিবেশ করে, গণনা করা হবে পদার্থের পরিমাণ।
৩. পরীক্ষা ও সমন্বয়: ফলাফল যাচাই করা এবং প্রয়োজনে সমন্বয় করা।
ফ্যারাডের সূত্রের মাধ্যমে তড়িৎ বিশ্লেষণে পদার্থের পরিমাণ নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। এটি বিভিন্ন বৈদ্যুতিন প্রতিক্রিয়া এবং তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেখানে চার্জ, সময়, প্রবাহ এবং পদার্থের আণবিক ভরের সাহায্যে পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়।